
AMIE হলো IEB( TheInstitution of Engineers ) কর্তৃক পরিচালিত বিএসসি সমমানের একটি কোর্স । এটি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স, যা একজন কোর্সধারীকে সমাজে প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় প্রদান করে। এই কোর্স পাশ করতে পারলেই আপনি IEB এর মেম্বারশীপ পাবেন অর্থাৎ নিজের নামের পূর্বে ইঞ্জিঃ/প্রকৌশলী ট্যাগ লাগাতে পারবেন।AMIE কোর্সটি IEB কর্তৃক পরিচালিত এবং BUET কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত।অনেকেই বলে থাকে " AMIE বুয়েট অধিভূক্ত" যা সম্পূর্ন ভুল একটি ধারনা।আপনি AMIE থেকে পাশ করার পর আপনার সার্টিফিকেটের কোথাও BUET এর নাম থাকবে না।
তাহলে BUET নিয়ন্ত্রিত মানে কি?
-এর মানে হলো AMIE এর প্রশ্নপত্র গঠন থেকে শুরু করে ফলাফল পর্যন্ত যাবতীয় কাজ BUET করবে কিন্তু আপনার সার্টিফিকেটে থাকবে IEB এর নাম।
তবে BUET অধিভূক্ত নয় কিংবা সার্টিফিকেটে BUET এর নাম থাকবে না ভেবে মন খারাপ করার কিছু নেই,কারন-
১)চাকুরীর ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা কে মূল্যায়ন করা হবে আপনার প্রতিষ্ঠানকে নয়।আপনার জানার পরিধি যত বেশী হবে,চাকূরীর ক্ষেত্রে আপনি ততই এগিয়ে থাকবেন।
২)আপনি AMIE থেকে পাশ করতে পারলে অবশ্যই একজন বুয়েট পাশ ছাত্রের সমান দক্ষতা নিয়ে বের হতে পারবেন।
এবার কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাক-
১)AMIE তে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা কি?
-বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে চার বছর মেয়াদী যেকোনো বিষয়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর যদি আপনার CGPA সর্বনিম্ন 3.00 থাকে তাহলেই আপনি AMIE তে ভর্তি হতে পারবেন।
(এইচএসসি পাশ ছাত্রছাত্রীরাও বিশেষ শর্তে ভর্তি হতে পারবেন)
২)ভর্তির স্থান ও সময়?-প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী এবং আগষ্ট মাসে IEB এর সকল কেন্দ্রে ভর্তি হতে পারবেন।
৩)ভর্তি হতে মোট খরচ কত?
- ভর্তি ফি-৭,৫০০ টাকা
বার্ষিক চাঁদা-১,০০০ টাকা
বার্ষিক ছাত্র কল্যান তহবিল-৫০ টাকা
ব্যাংক ফি-৩০০ টাকা
মোট-৮৮৫০ টাকা
৪)পাশ করতে কত সময় লাগবে?
-AMIE তে প্রতিবছর এপ্রিল ও অক্টোবর টার্মে পরীক্ষা নেওয়া হয়।BUET,CUET,KUET,RUET এর চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি তে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
AMIE পাশ করার জন্য একজন ছাত্র/ছাত্রীকে মোট ২২ টি বিষয়ে পাশ করতে হয়।এর মধ্যে সেকশন A তে ১১ টি বিষয় ও ৪০ ঘন্টার কম্পিউটার ট্রেনিং এবং সেকশন B তে ১১ টি বিষয় ও ৩ মাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং রয়েছে।
সেকশন A পাশ করার পর সেকশন B এর বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া যায়।
শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার ১ বছর পর প্রথম টার্মের জন্য পরীক্ষা দিতে পারে।এরপর প্রতি ৬ মাস পর পর পরীক্ষা দিতে পারবে।একই টার্মে সর্বোচ্চ ৪ টি বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়া যায়।
কেউ যদি প্রতি টার্মে ৪ টি করে বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে পারে, তাহলে AMIE পাশ করতে মোট ৩ বছর ৬ মাস সময় লাগবে।
৫)একাডেমিক ক্লাস হয় কোথায়?
-AMIE এর একাডেমিক কোনো ক্লাস হয় না।নিজে নিজে পড়ে পাশ করতে হবে।এই কারনে এবং পর্যাপ্ত গাইডলাইন না থাকার কারনে AMIE তে পাশের হার খুবই কম।
তবে IEB ভবনে বুয়েটের প্রফেসর দ্বারা কোচিং করানো হয়।তাছাড়াও বিভিন্ন যায়গায় আরো অনেক কোচিং সেন্টার আছে।হ্যান্ডনোট,বিগত বছরের প্রশ্ন,কোচিং শীট ইত্যাদি স্ট্যাডি ম্যাটেরিয়ালস এখন সহজলভ্য হওয়ায় পাশের হার ধীরে ধীরে বাড়ছে।
৬)রেজিস্ট্রেশনের পর কত বছর পর্যন্ত এর মেয়াদ থাকে?
-রেজিস্ট্রেশন করার পর ১৫ বছর পর্যন্ত আপনার রেজিস্ট্রেশন এর মেয়াদ থাকবে।এই ১৫ বছরের মধ্যে পাশ করতে না পারলে আপনার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে।
৭)AMIE কি UGC(University Grant Comission) স্বীকৃত?
-UGC শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বীকৃতি দেয়।যেহেতু,AMIE কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নয়,এটি একটি কোর্স যা বিএসসি সমমানের তাই এখানে UGC এর কোনো ধরনের স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই।
৮)AMIE এর কোর্স কত ক্রেডিটের?
-AMIE তে কোনো ক্রেডিট সিস্টেম নেই।এখানে দুটি সেকশনে মোট ২২ টি বিষয় পাশ করতে হয়।
৯)পাশ করার পর BCS দেওয়া যাবে?
-হ্যা, AMIE থেকে পাশ করার পর আপনি জেনারেল ক্যাডার এবং টেকনিক্যাল ক্যাডার,উভয় ক্যাডারের জন্যই এপ্লাই করতে পারবেন। আগে শুধু টেকনিক্যাল ক্যাডারে আবেদন করা গেলেও এখন থেকে জেনারেল ক্যাডারেও আবেদন করা যাবে।
ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের জন্য নিচের ফাইলটি ডাউনলোড করুন।

Direct link- Click Here
0 comments:
Post a Comment